প্রকাশিত: Wed, Feb 15, 2023 3:18 PM
আপডেট: Tue, Jun 24, 2025 1:49 PM

আশ্রয় কেন্দ্রে এইডসের প্রাদুর্ভাব ০.৮ শতাংশ, বাংলাদেশে ০.০১ শতাংশ

রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে এইডস ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকিতে বাংলাদেশ

আসাদুজ্জামান সম্রাট: মিয়ানমারের নির্যাতনের শিকার হয়ে এ দেশে আসা রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে এইডস সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়েছে বাংলাদেশ। এই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে এইচআইভির প্রাদুর্ভাব শূন্য দশমিক আট শতাংশ আর বাংলাদেশেীদের মধ্যে এ হার শূন্য দশমিক শূন্য এক শতাংশ। এর বাইরে এইচআইভি পজিটিভ হওয়ার পরেও তা লুকিয়া রাখার প্রবণতার কারণে দেশে এইচআইভি সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে।

ইউএনএইডস’র তথ্যমতে, বাংলাদেশে এইডস আক্রান্ত রোগীর আনুমানিক সংখ্যা ১৪ হাজার।  স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এইডস/এসটিডি প্রোগ্রাম বলছে, বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ৮ হাজার ৭৬১ জন এইডস রোগী শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মারা গেছে ১ হাজার ৫৮৮ জন। সংক্রামিত ব্যক্তিদের তুলনায় শনাক্তকরণের হার ৬৩ শতাংশ। সে হিসেবে এখনও ৩৭ শতাংশ রোগী শণাক্তকরণের বাইরে রয়ে গেছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এইডস/এসটিডি প্রোগ্রামের সিনিয়র ম্যনেজার মো. আখতারুজ্জামান বলেন,  রোহিঙ্গারা আমাদের মধ্যে ঝুঁকির অন্যতম কারণ। তাদের মধ্যে এইচআইভির প্রাদুর্ভাব ০.৮ শতাংশ। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে এইচআইিিভ শণাক্তকরণের কাজ চলছে। এছাড়া ২০২৫ সালের মধ্যে ইউএনএইডস লক্ষ্য অর্জনে আমরা কাজ করছি। এইডস রোগীদের চিকিৎসা নিতে আগ্রহী করতে এ বছর আমরা ১২টি এইচআইভি-এইডস ট্রিটমেন্ট সেন্টারে একজন করে এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তিকে মাঠকর্মী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, কারাবন্দিদের একটি বড় অংশ মাদকসেবী ও মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ায় তাদের ঝুঁকি বেশি। সে কারণে কারাগারে এইচআইভি টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত চার মাসে টেস্ট করে কারাগারে এইডস রোগী পাওয়া গেছে।

এদিকে ইতিমধ্যে শনাক্ত সব রোগীকে চিকিৎসার আওতায় আনতে পারেনি সরকার।৭৭ শতাংশ  আক্রান্ত  ব্যক্তিকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ২৩ শতাংশ সংক্রামিত লোক চিকিৎসার বাইরেই রয়েছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমিত লোকদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আক্রান্ত  হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।

সংক্রামক এই ব্যাধি মোকাবেলায় ২০২৫ সালের মধ্যে ৯৫-৯৫-৯৫ লক্ষ্য পূরণের উদ্যোগ নিয়েছে ইউএনএইডস। এর আওতায় এইচআইভিতে আক্রান্ত লোকেদের ৯৫ শতাংশ তাদের এইচআইভি স্ট্যাটাস জানবে, যারা এইচআইভি পজিটিভ তাদের ৯৫ শতাংশ চিকিৎসার জন্য তালিকাভুক্ত হবে, এবং চিকিৎসাধীন আক্রান্তদের ৯৫ শতাংশের ভাইরাল লোড, অর্থাৎ তাদের দ্বারা যেন অন্যরা আক্রান্ত না হয় তা দমন করা হবে।

 দেশের প্রথম জাতীয় এইডস কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর এইচআইভি টেস্ট করে শনাক্তের হার বাড়ানো এবং যারা শনাক্ত হবে, তারা যাতে চিকিৎসার আওতায় থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব